২০২৫ সালের জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে চালু হবে যমুনা নদীর উপর বহুল প্রতীক্ষিত ডাবল লাইন ডুয়েল গেজ রেলওয়ে সেতুটি
স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় :
২০-১১-২০২৪ ১১:৪৬:৪৫ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
২০-১১-২০২৪ ১১:৪৬:৪৫ অপরাহ্ন
২০২৫ সালের জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে চালু হবে যমুনা নদীর উপর বহুল প্রতীক্ষিত ডাবল লাইন ডুয়েল গেজ রেলওয়ে সেতুটি
২০২৫ সালের জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে চালু হবে যমুনা নদীর উপর বহুল প্রতীক্ষিত ডাবল লাইন ডুয়েল গেজ রেলওয়ে সেতুটি
যমুনা নদীর উপর বহুল প্রতীক্ষিত ডাবল লাইন ডুয়েল গেজ রেলওয়ে সেতুটি ২০২৫ সালের জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে চালু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতুর প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মো. মাসুদুর রহমান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আমরা যমুনা নদীর উপর ডেডিকেটেড ডাবল লাইন ডুয়েল গেজ রেলওয়ে সেতুর নির্মাণ কাজ সফলভাবে সম্পন্ন করেছি।
তিনি বলেন, ৪.৮ কিলোমিটার দীর্ঘ ডাবল লাইন ডুয়েল গেজ সেতু, যা হবে দেশের বৃহত্তম ডেডিকেটেড রেল সেতু। ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে ডব্লিউডি-১ এবং ডব্লিউডি-২ সহ দুটি প্যাকেজে এ সেতু নির্মান করা হয়েছে।
তিনি বলেন, সেতুটির মোট ব্যয় ধরা হয়েছিল ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি ৯৫ লাখ টাকা, যার মধ্যে নির্মাণ কাজের জন্য ১৩ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে এবং অন্যান্য খরচ মেটানোর জন্য ৩ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু নির্মাণে আমাদের সাশ্রয় হয়েছে ৫০ কোটি টাকা।
প্রকল্পের বিবরণ অনুযায়ী, মূল নির্মাণ কাজে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা)। তারা দিয়েছে প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা, বাকি টাকার যোগান দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।
২০১৬ সালে নেওয়া এ প্রকল্পের প্রধান কাজগুলো যৌথভাবে করছে জাপানের দুটি সংস্থা।
গ্যাস পাইপলাইন সুবিধা সম্বলিত ডুয়েল গেজ ডাবল ট্র্যাক সেতুটি বঙ্গবন্ধু সেতুর প্রায় তিনশ মিটার উজানে নির্মিত হচ্ছে, যেখানে একটি একক রেললাইন রয়েছে।
২০১৬ সালের ডিসেম্বরে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি ৯ হাজার ৭৩৪ কোটি টাকা ব্যয়ে সেতু প্রকল্পটি পাস করে এবং প্রকল্পটি ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা ছিল।
কিন্তু প্রকল্পের ভৌত কাজ শুরু হয় ২০২০ সালের আগস্টে এবং সেতুর ভিত্তি কাজ শুরু হয় ২০২১ সালের মার্চ মাসে।
প্রকল্পের বিবরণে বলা হয়েছে, এ রেলসেতু দেশের রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা আরো সহজ করবে। সেতুটি চালু হলে উত্তর ও দেশের বাকি অংশের মধ্যে ডেডিকেটেড রেলওয়ে নেটওয়ার্ক স্থাপিত হবে।
এতে বলা হয়েছে, রেলওয়ে সেতুটি দেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) বৃদ্ধিতেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
এতে আরও বলা হয়েছে, রেলওয়ে সেতুটি রাজধানী ও দেশের পশ্চিমাঞ্চলের মধ্যে আরও বেশি ট্রেন পরিচালনায় বাংলাদেশ রেলওয়ের (বিআর) সক্ষমতা বাড়াবে। এ ছাড়া ট্রেনের বিলম্ব কমাতেও সহায়ক হবে।
নতুন রেল সেতুতে দৈনিক ৮৮টি ট্রেন চলাচলের ক্ষমতা থাকবে, যেখানে বঙ্গবন্ধু সেতুর সিঙ্গেল লাইন ডুয়েল গেজে দিনে সর্বোচ্চ ২২টি ট্রেন নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারে।
এ ছাড়াও সব দিক বিবেচনায় নিয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে একটি রেলসেতু নির্মাণ এবং আরেকটি জয়দেবপুর থেকে ঈশ্বরদী পর্যন্ত ডুয়েলগেজ ডাবল লাইন নির্মাণের জন্য দুটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : News Upload
কমেন্ট বক্স